Saturday, May 16, 2020

কাস্টমার বাড়ানোর ক্ষেত্রে এসএমএস (SMS) এর ভুমিকা কতটুকু?

টাইটেল দেখেই বুঝে গেছেন কি বলতে চাচ্ছি। হ্যা কাস্টমারকে একটা মেসেজ দিলে সেই কাস্টমারের হতে পূনরায় অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায় এমনকি নতুন কাস্টমার তৈরীতেও ভুমিকা রাখে। 
চলুন উদাহরণে চলে যাইঃ
ধরুন আপনি একেকটা শপ থেকে একেকটা বাজার করলেন। প্রতিটা শপেই ক্যাশমেমো করার সময় আপনার দিয়েছেন। মেমোটা নিয়ে হয়ত বাড়ি পর্যন্ত আসবেন কিন্তু এরপরই মেমো পালাই দিবেন তাই না?
আবার ধরুন আপনি শহরের পাইকারি দোকান থেকে প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রোডাক্ট ক্রয় করলেন, মেমো নিয়ে আসলেন
আর প্রতিষ্ঠানের হিসাব বই তে এন্ট্রি করে মেমোটা কোথাও রেখে দিছেন। পরবর্তীতে যখন মেমোটা আপনার প্রয়োজন সবগুলো মেমো খুঁজে খুঁজে কাঙ্ক্ষিত মেমোটি বের করবেন যদিও সেটা কষ্টসাধ্য। আর মাস দুয়েকের মধ্যে যদি সেই মেমোটা আপনার প্রয়োজন না হয় তাহলে তার আর খোঁজ থাকবে না।



কখনো যদি পাইকারি বিক্রেতার নাম্বারটির প্রয়োজন হয় তখন আবার মেমোটি খুঁজা শুরু, কিন্তু হায় এত গুলো মেমোর মধ্যে খুঁজবেন কোথায়? হ্যা, ঐ বিক্রেতার নাম্বারটি যদি আপনার মোবাইলে সেভ করা থাকে তাহলে আর মেমোটা খুঁজার কোন প্রয়োজনই নাই, কন্টাক্ট লিস্ট থেকে নাম্বারটা দিয়েই সরাসরি কল দিতে পারবেন। একটু চিন্তা করুন তো, আপনি যদি খুচরা কাস্টমার হোন তাহলে কোন মেমো ২মাসের মত সংরক্ষণ করতেন? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই না। 

আপনি কাস্টমার হলে ২মাসে হয়ত ঐ প্রতিষ্ঠানকেও ভুলে যাবেন। আর এটা হচ্ছে ঐ প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা।

এতক্ষন ক্রেতা হয়ে কথা বলছি, এবার চলুন বিক্রেতা হয়ে কিছু জ্ঞান দেওয়া যাকঃ 
আপনি যদি প্রতিটা কাস্টমারের নিকট একটা করে এসএমএস দিয়ে রাখেন তাহলে তার মেমোটি হারিয়ে গেলেও এসএমএস টি কিন্তু মোবাইলে থেকে যায়। যখনই সে তার মেসেজ গুলো পড়তে যায় তখনই একবারের জন্য হলেও আপনার প্রতিষ্ঠানের কথা তার মনে পড়বে। তাছাড়া এটা একটা প্রতিষ্ঠানের জন্য স্মার্ট মার্কেটিংও বলা যায়।

যখনই কাস্টমারের মনে হবে অমুক পণ্যটা আপনার নিকট আছে কিনা একটু জিজ্ঞেস করে নেওয়া যাক, তখনই সেই এসএমএসটা আগে বের করে আপনার নাম্বারে কল দিবে। কোন কোন ক্ষেত্রে প্রতিবেশি কারও কোন কিছু প্রয়োজন হলে আপনার নাম্বার দিয়ে দিবে আপনাকে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করার জন্য।

আপনি হয়ত চিন্তা করছেন, বিজনেসে নিশ্বাস পালানোর সময় পাচ্ছেন না আবার এসএমএস কীভাবে? পাঠানোর সময় কই??
হায়রে ভাই, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হিসাব নিকাশ করার সময় কি আপনার নাই? কাস্টমারের বকেয়া, পাইকারের পাওনা, আজকের সেলস, খরচ এগুলো হিসাব করতে পারলে ঐটাও পারবেন। 
এখন আপনি হয়ত বলবেন এত সময় কোথায় প্রতিটা কাস্টমারকে এসএমএস দেওয়ার? তাদের নাম্বারটি মোবাইলে উঠাতে হবে, এসএমএস লিখতে হবে, তারপর আবার লিখার মধ্যে গ্রামার ভুল আছে কিনা দেখতে হবে এরপর পাঠাতে হবে!! এগুলোর জন্য প্রচুর সময় লাগবে।

তাদের উদ্দ্যেশ্যে আমি বলব, আপনার প্রতিষ্ঠানকে এখনো ডিজিটালাইজ করেন। এনালগযুগে রয়েগেছেন, কাস্টমার কিছুদিন পর আর আসবে না। কারণ প্রতিযোগিতার মার্কেটে কাস্টমার ধরে রাখা অনেক কঠিন। বুঝলেন না তো?

 আমার মতামত হচ্ছে যাদের প্রতিষ্ঠান এখনো এনালগভাবে হিসাব নিকাশ করতেছেন তারা প্রতিষ্ঠানের হিসাব নিকাশের জন্য যত দ্রুত সম্ভব ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার নিয়ে নিন। 
যেখানে আপনার কাস্টমারের তথ্যের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের ক্রয়, বিক্রয়, লাভ, খরচ, স্টক সহ সব জানতে পারবেন। এসব সফটওয়্যারের সাথেই এসএমএস সিস্টেম একটিভ করা থাকে, আপনি কস্ট করে মেসেজ লিখতে বা পাঠাতে হবে না এটা অটো চলে যাবে।

আপনি শুধু কাস্টমারের নাম, মোবাইল নাম্বারটা নিয়ে সফটওয়্যারে সেলস দেখাই দিলে হবে। ব্যাকগ্রাউন্ডে আপনার স্টক, লাভ, খরচ, এসএমএস সব অটো হয়ে যাবে। যাইহোক, কারও প্রতিষ্ঠানের জন্য সফটওয়্যার লাগলে বা কেমন সফটওয়্যার হলে আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য ভাল হবে তা জানতে আমাকে নক দিয়েন। 
আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব

আলোচনা অন্যদিকে চলে যাচ্ছে, এজন্য দুঃখিত। যাইহোক, প্রতিটা কাস্টমারের নিকট যখন আপনার প্রতিষ্ঠানের থেকে মেসেজ যাবে তখন সে আপনার সিস্টেমকে আপডেট মনে করবে। আপনাকে ডিজিটালাইজ মনে করবে, তার মনের অজান্তে আপনার প্রতিষ্ঠানের প্রতি একটা বিশ্বাস তৈরি হয়ে যাবে। আর কাস্টমারের সন্তুষ্টি আদায় করতে পারলেই আপনি আপনার প্রতিষ্ঠান ডেভেলপ করতে পারবেন। 

আজ এতটুকুই থাক, হ্যা প্রতিষ্ঠানের হিসাব নিকাশ কীভাবে সহজে রাখবেন তার উপর আমার একটা লিখা রয়েছে, এখান থেকে এটাও পড়ে দেখতে পারেন।



------
এমরান হোসেন আদর
ডিরেক্টর মার্কেটিং
smartwaybd.com
জুনিয়র সফটওয়্যার ডেভেলপার
Chayapoth Info Tech

ট্রেইনার
স্কীলস ফর ইমপ্লয়ে ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম, ফেনী সরকারী কম্পিউটার ইনষ্টিটিট, ফেনী।

আইটি সার্ভিস ট্রেইনার
প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন প্রকল্প, আইসিটি বিভাগ, আইসিটি অধিদপ্তর বাংলাদেশ।

Emai;: amranhossain168@gmail.com
+880 1687 836688

Wednesday, August 8, 2018

মন ভাল করার ৮ টি উপায়

শরীর এবং মন। এই দুইটি একজন ব্যাক্তির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মন ভাল না থাকলে শরীর ভাল থাকে না,শরীর ভাল না থাকলে মন ভাল থাকে না।শরীর ভাল না থাকলে আমরা বিভিন্ন প্রকার মেডিসিন সেবন করে ভাল হতে পারি, কিন্তু মন ভাল না থাকলে মন কে ভাল করার জন্য মেডিসিন আজও আবিষ্কার হয় নি। মেডিসিন না থাকলেও দ্রুত মনকে ভাল করার জন্য আছে ৮ টি পদ্ধতি। এই ৮টি পদ্ধতি অনুসরন করলে, অতি দ্রুত মনকে ভাল করা সম্ভব।


১) বাইরে কোথাও ঘুরতে চলে যান।
বাইরের তাজা হাওয়া আপনার মনকে সতেজ করে দিবে। তাই সময় নষ্ট না করে এখনি প্রিয়জন, পরিবার,বা বন্ধুদের সাথে বেরিয়ে পড়ুন।  আরও ভাল হয় যদি কিছু সময়ের জন্য রোদে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। রোদে হাঁটাহাঁটি করলে ভিটামিন ডি এর মাত্রা বৃদ্ধি পাবে,যা মস্তিষ্কে ডোপামিন ক্ষরন বাড়িয়ে মনকে আনন্দে ভরিয়ে দিবে।
২)আপন কোন মানুষের সাথে কথা বলা।
যখনই মন খারাপ হবে তখনই প্রুয় মানুষের সাথে কথা বলার চেষ্টা করুন। কথা বলার সময় পূবের ভাল কিছু মেমুরি,কোন কিছু অর্জন করেছেন তা শেয়ার করা বা কোন কাজ করবেন তার জন্য পরামর্শ নিতে পারেন। কথা আপনি সামা সামনি বা মোবাইলে বলতে পারেন।   মেসেঞ্জারে কথা বললে কিন্তু খারাপ প্রভাব পড়বে।
৩) নেতিবাচক চিন্তা দূর করুন।
নেতিবাচক চিন্তা করার সময়, আমাদের ব্রেন থেকে কর্টিসল,এডরেনালিন হরমোন উৎপন্ন করে। যা আমাদের মাঝে ভয়, বিরক্ত উৎপন্ন করতে সাহায্য করে।
অনুরূপ, আমারা যখন পজেটিভ চিন্তা করি, তখন আমাদের ব্রেন থেকে অক্সিটোসিন, ডোপামিন  উৎপন্ন করে। যা আপনার আবেগকে নিয়ন্ত্রনে রাখে।
তাই সব সময় নেতিবাচক চিন্তা থকে দূরে থাকুন।
৪)নতুন কিছু করার চেষ্টা করা।
আমারা যখন নতুন কোন কিছু করার চেষ্টা করি, তখন আমাদের সম্পূর্ণ মনোযোগ সেই কাজের দিকে থাকে। তাই মন খারাপ হলে বসে না থেকে নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন।  সেটা হতে পারে,পাহাড়ে ওঠার চেষ্টা, সাতার শেখা ইত্যাদি।
গবেষণা দেখা গেছে, আমরা যদি আমাদের ভাল লাগার কোন একটা কাজ ভালভাবে করতে পারি, তাহলে আমাদের মাঝে ভাল লাগার হরমোন সেরোটোনিন উৎপন্ন হয়।যা আমাদর মনকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করে।
৫)গান গাওয়া বা শোনা।
দ্রুত মনকে ভাল করার অন্যতম উপায় হচ্ছে মিউজিক। মন খারাপ থাকলে, আপনি গান গাইতে পারেন এমন গান গাওয়া অথবা আপনার শুনতে ভাল লাগে এমন গান শোনার পরামর্শ দেন মনোবিদরা।
৭)পছন্দের খাবর খাওয়া।
মন খারাপ থাকলে আপনার পছন্দের খাবার খান। সেটা হতে পারে চকলেট, পপকর্ন ইত্যাদি। পপকর্নে আছে সেরাটোনিন নামক এক প্রকার হরমোন, যা আপনার মনকে অতি তাড়াতাড়ি ভাল করে দিবে।
তবে যতটা সম্ভব কফি বা এ জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকবেন। কারন হচ্ছে, এই জাতীয় খাবারে ক্যাফিনের পরিমান বেশি থাকে। ক্যাফিন মানসিক অবসাদকে আরও বাড়িয়ে দেয়। যার কারনে, পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়।
৭)হাসুন।
মন খারাপ থাকলে যদিও হাসর মতো পরিস্থিতি থাকে না তবুও চেষ্টা করুন হাসর। হাসি মেজাজ ভাল রাখে এবং বিঘ্নতা দূর করতে সাহায্য করে। হাসতে সমস্যা হলে বদ্ধ রুমে গিয়ে চিৎকার করুন।যার মাধ্যমে আপনার মন অতি দ্রত ভাল হযে যাবে।
৮)অন্যকে সাহায্য করা।
খারপ মনকে ভাল করার অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে অন্যকে সাহায্য করা।কারো জন্য নিঃশর্তে কিছু করতে পারলে সত্যি অনেক ভাল লাগে। সাম্প্রতি এক গবেষনায় দেখা গেছে, অন্যকে সাহায্য  করার সময় আমাদের শরীলে বিশেষ কিছু হরমোন ক্ষরন হয়,যা মনকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করে। তাই শুধু মন খারাপের সময় নয়, মন ভাল থাকলেও আপনি অন্যকে সাহায্য করতে পারেন, যার ফলে আপনার আত্মাতৃপ্তি বেড়ে যাবে।
মন খারাপ থাকলে আমরা অনেক সময় অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।এমনকি আত্মাহত্যার মত ভুলও। তাই মন খারাপ হলে উপরের ৮ টি উপায় অনুসরন করে আপনিও আপনার মনকে ভাল করতে পারেন।

Tuesday, August 7, 2018

ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে আপনাকে অবশ্যই আপনার টার্গেট মার্কেট বা কাংখিত বাজার সম্পর্কে

ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে আপনাকে অবশ্যই আপনার টার্গেট মার্কেট বা কাংখিত বাজার সম্পর্কে পূর্ণ ধারনা
থাকতে হবে। মার্কেটের কতটুকু আপনার দখলে রাখতে চান আর সেজন্য মার্কেটে বা বাজারে প্রবেশের জন্য
আপনার কৌশল কি হবে তাও নির্ধারন করতে হবে আপনাকে। বাজারে প্রবেশের জন্য আপনার কি বিশেষ সুযোগ
অপেক্ষা করছে সাথে কি কি বাড়তি ঝুঁকি মোকাবেলা করতে হবে আপনাকে সে সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে।
এ সম্পর্কিত কিছু ধারনা শেয়ার করার চেষ্টা করব। সাথে থাকবেন আশা রাখছি…
কোন একটি ব্যবসায়কে যদি মানবদেহের সাথে তুলনা করি তাহলে বাজারজাতকরন সেই মানবদেহের রক্ত সঞ্চালন
প্রক্রিয়া বলা চলে। কারন সুষ্ঠ বাজারজাতকরন প্রক্রিয়ায় মাধম্যেই প্রতিষ্ঠান অর্জন করে মুনাফা। তাই আজ
যারা বাজারের চল্লিশ শতাশেংর বেশী দখল করে মার্কেট লিডার হিসেবে আছে তাদের দিকে তাকালে দেখতে পাব
তাদের বাজারজাতকরন কৌশলেও আছে ভিন্নতা।

একটি বাজারে চার ধরনের অবস্থা আপনার জন্য অপেক্ষা করে। আপনার শক্তি, দুর্বলতা, সুযোগ এবং হুমকি।
আর আপনি এ চারটি অবস্থাকে মোকাবেলা করতে পারলেই বাজারে নিজের অবস্থান তৈরী করে নিতে পারবেন।
এ চারটি উপাদানকে বিশ্লেষণ করে আপনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলেই সফলতা আপনার কাছে এসে ধরা দিবে।
আপনার পন্যটি বাজারের অন্যান্য পন্যের থেকে মানসম্মত, ক্রেতা আপনার পন্যটি কিনে সন্তুষ্ট হবে, আপনার
পন্যটি ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে, ক্রেতা আপনার ব্রান্ডের ওপর আস্থা রাখে, আপনার পন্যটির মুল্য ক্রেতাকে সন্তুষ্ট
করতে পারে, ক্রেতা আপনার পন্যটি নিজে কিনে এবং অন্যকেও কিনতে বলে, আপনার পন্যটি লাভজনক ভাবে
বাজারে স্থান দখল করে আছে, আপনার বিক্রয় কর্মীদের ওপর ক্রেতারা সন্তুষ্ট, নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থার সাথে
প্রতিযোগীেতা মোকাবেলা করার সামর্থ্য আছে, সরবরাহ শৃঙ্খল মজবুত, বিজ্ঞাপন ও প্রসারে আপনি
এগিয়ে এমন আরও অনেক কিছু যা আপনার টার্গেট মার্কেটে আপনার শক্তি হিসেবে বিবেচিত। দক্ষ ভাবে বাজার
পরিচালনার সাথে সাথে এ শক্তি বাড়ানোর জন্য আপনার প্রচেষ্টা অব্যহত রাখতে হবে।

আপনার পন্য মান খুবই দূর্বল কিংবা সন্তোসজনক নয়, আপনার পণ্যের ওপর ক্রেতার আস্থা কম, ক্রেতা আপনার ব্রান্ডের ওপর সন্তুষ্ট নয়, পন্য মান অনুযায়ী মূল্যে বেশী, প্রতিযোগীতা মোকাবেলা করার মত সামর্থ্য আপনার নেই, আপনার পন্যটি ক্রয় করার পর অন্যকে কিনতে বলা তো দুরের কথা দ্বিতীয় বার ক্রেতা নিজেও কিনে না। আপনার কর্মী বাহিনী দূর্বল, আপনাকে মুনাফার বদলে ক্ষতি নিতে হচ্ছে বাজার থেকে, পরিবহন ব্যবস্থার জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়, সরবরাহ শৃঙ্খল দুর্বল আপনাকে এমন আরও অনেক দুর্বলতা যা আপনার প্রতিষ্ঠানকে টিকে থাকার অবস্থা থেকেও দুরে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আর এ অবস্থা চলতে থাকলে আপনার ব্যবসায়ের বিলুপ্তি সময়ের ব্যাপার। তাই চিহিৃত দূর্বলতা গুলোকে যত দ্রুত সম্ভব সমাধানের পথে নিয়ে আসতে হবে আপনাকে।
বাজারে আপনার পন্যটি মানুষ চিনে, ব্যান্ডটির ওপর আস্থা বাড়ছে, আপনার পন্যটির সাথে অন্য পন্যের যাচাই
বাছাই করে, পন্য মান আরও ভাল করার জন্য পরামর্শ দেয়, পন্যের মূল্য নিয়ে কথা বলে, বাজার মূল্য যা আছে ভাল
তবে আর একটু কম হলে ভাল হত, আপনার পন্যটি ক্রেতা চাইলেই তার হাতের কাছ থেকে পন্যটি ক্রয় করতে
পারে, প্রতিযোগীতার বাজারে আপনার পন্যটি এগিয়ে থাকে, দিন দিন আপনার পন্যের পরিচিতির সাথে বিক্রয়ও
বাড়ছে, আপনার বিক্রয় কৌশল প্রতিযোগীদের তুলনায় কম যায় না, সরবরাহ শৃঙ্খলও দূর্বল নয়, অতীতে প্রতিষ্ঠান
ক্ষতি বহন হলেও এখন পুষিয়ে নিতে পারছে এই যখন অবস্থা তখন আপনার সামনে সুদিন অপেক্ষা করছে।
আপনি এটাকে ধরে রেখে এগিয়ে যেতে থাকলে সাফল্য আপনার খুব কাছেই।
আপনি যখন বাজারে আপনার পন্যটি নিয়ে হাজির হবেন তার সাথে কিছু কৌশলও আপনাকে হাতে নিতে হবে।
কারন বাজারে আপনার পন্যের ওপর বেশকিছু হুমকিও হাজির হওয়ার সময় এসে যাবে। বাজারের মন্দা যেকোন
সময় মোকাবেলা করার সামথ্য আপনাকে ধরে রাখতে হবে । চলতি বাজারে আপনার প্রতিযোগীদের সিদ্ধান্ত
আপনাকে ক্ষতির সম্মুখীন করতে পারে, সরকারী কোন সিদ্ধান্ত আপনাকে মোকাবেলা করতে হতে পারে, আপনার
পন্য উৎপাদন ও সরবরাহ শৃঙ্খলে হতে পারে জটিলতার সৃষ্টি। এর বাইরেও আরও বিভিন্ন ধরেনের হুমকি আসতেই
পারে যা আপনাকে করতে ক্ষতির সম্মুখীন। তাই বলে সাহসের ঘাটতি হলে কি চলে। সব ধরনের বাধা আর হুমকি
মোকাবেলা করার মত প্রস্তুতি নিয়ে থাকতেই হবে আপনাকে সর্বদা।
মার্কেটিং একটি চ্যালেঞ্জ আর বুদ্ধিমত্তার খেলা। আর এ খেলায় সেই প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যে বাজারের বিশ্লেষণ করে
বাজারের দূর্বলতা কাটিয়ে সুযোগ সমুহ কাজে লাগিয়ে প্রতিযোগীতা মোকাবেলা করে বাজারে নিজের অবস্থান
করে নিতে পেরেছেন।
ধন্যবাদ সকলকে। আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করি।
লিখাটি লেখেছেনঃ মাসুদুর রহমান মাসুদ ভাই। সবাই ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।

ক্লায়েন্টের সাথে আলাপ এগিয়ে নেওয়ার ৩টি টিপস
ক্লায়েন্টের চাহিদা বুঝতে পারলে আপনার পণ্য বিক্রি করা সহজ হয়ে যাবে।
যেসব ব্যবসায় একের বেশি পণ্য/সেবা থাকে তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হল একই কাস্টমারদের মাঝে তাদের
ভিন্ন ভিন্ন পণ্য বিক্রি করা (ক্রস সেলিং)। এটি করতে হলে ক্লায়েন্টের সাথে আলাপ করা জরুরি আর কীভাবে
আলাপ করবেন তা এখানে তুলে ধরা হলঃ
১. দিনকাল কেমন যাচ্ছে? ব্যবসা কেমন যাচ্ছে?
প্রতিটি সাক্ষাতের শুরুতেই আমরা এই দুইটি প্রশ্ন করে থাকি। মাঝে মাঝে এই দুইটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করার
মাধ্যমে ক্লায়েন্টের চাহিদা জানা যায় এবং তা নিয়ে এক ঘন্টারও বেশি আলাপ করা যায়।
২. নিজের কোম্পানির ব্যাপারে বক্তব্য দিন
প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই নিজস্ব পরিচিতিমূলক বক্তব্য থাকে যেখানে কোম্পানির পরিচিতি ও কর্মপরিধি উল্লেখ
থাকে। এছাড়াও কখন ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করা যাবে তাও জিজ্ঞেস করে নেওয়া হয়।
পুরো বক্তব্য দুই-তিন মিনিটের বেশি হবে না এর বেশি হলেই ক্লায়েন্ট তার মনযোগ হারিয়ে ফেলবে।
৩. আপনার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও মূল চ্যালেঞ্জ গুলো কী কী?
এই ওপেন এন্ড প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে আপনার ক্লায়েন্ট তার কাছে যা কিছু গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে কথা বলবে।
এর মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন কোথায় আপনার ক্লায়েন্টকে আপনি সাহায্য করতে পারবেন বা পরবর্তী
সাক্ষাতের এজেন্ডা নির্ধারণ করে দেবে যখন আপনি জানবেন ক্লায়েন্টের চাহিদা পূরণে আপনার পণ্য/সেবাই
সঠিক সমাধান।
ক্লায়েন্টের সাথে আলাপ করলে যে করেই হোক পরবর্তী সাক্ষাতের ক্ষেত্র তৈরি করে নিতে হবে। চলমান আলাপের
মাধ্যমেই ক্লায়েন্টের আয় বৃদ্ধি, নতুন ক্লায়েন্ট বা বেশি করে ক্রস সেলিং করার সুযোগ আসে। আপনার
কাজ হবে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে এবং তাদের ব্যাপারে যতবেশি তথ্য পাওয়া যায় তা নিশ্চিত করা এবং
আপনার কাজ ছাড়া আপনার ব্যাপারে যত কম কথা বলা যায় সেদিকে খেয়াল রাখা। প্রতিটি আলাপের পর
তাদের কাছে আপনি নির্দিষ্ট কোন প্রস্তাবনা বা সম্ভাব্য কোন সমাধান দিতে পারেন আর দেখবেন যে আপনার
ক্লায়েন্টই আপনার সাথে পরবর্তীতে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করবে। প্রাসঙ্গিক আলাপের মাধ্যমে বেশি
বেশি ক্রস সেলিং এর সুযোগ তৈরি হয় যা আপনার ব্যবসাকে লাভবান করবে।

সেলস কলে সাফল্যের ৬টি টিপস
ইমেইল, ফোন কল, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং – এসব হল সংযোগ স্থাপনের বিভিন্ন উপায়। প্রযুক্তির ফলে
যোগাযোগের যতই নতুন পন্থা আবিষ্কৃত হোক না কেন, সরাসরি মুখোমুখী যোগাযোগের কিন্তু এখনও
কোন বিকল্প নেই। সেলস কর্মী হিসেবে আপনাকে মাঠে নামতে হবে এবং সামনা-সামনি থেকে কথা
বলতে হবে।
কোন ক্লায়েন্ট প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করতে গেলে শুরুতেই নিজের ব্যবসার ফিরিস্তি দিয়ে না বসাটাই ভাল।
অভ্যর্থনা ডেস্কে যে থাকবে তার কাছে গিয়ে সাহায্য চাওয়ার আদলে তথ্য জানতে চান।
এই তথ্য জানা থেকেই ধীরে ধীরে নতুন ব্যবসার সম্ভাবনা খুলে যেতে পারে। সকল সেলস কল এতটা
সহজ নয়। তবে সেলস কল আপনার বিপণন কৌশলের জন্য যথেষ্ট সহায়ক। যেকোন সেলস কলের
জন্য এই টিপসগুলো মাথায় রাখুনঃ
  • ফ্রন্ট ডেস্কে বসা ব্যক্তিকে উপেক্ষা করবেন না। আপনি যতটা ভাবেন তার চেয়েও হয়ত সে বেশি জানে বা
বেশি প্রভাব রাখে।
  • অভ্যর্থনা ডেস্কে কারো সাথে কথা বলার সময় তার প্রথম নাম ব্যবহার করুন। এটা অনেকেই পছন্দ করে থাকে।
  • রিসেপশনিস্টকে জিজ্ঞেস করুন সে আপনাকে সাহায্য করতে পারবে কিনা। এতে ইতিবাচক ও অনানুষ্ঠানিক
পর্যায়ে আলাপ চালিয়ে নেওয়া যায়।
  • চারপাশে তাকিয়ে দেখুন ভাল করে, যেকোন ছবি, পুরস্কার বা গুরুত্বপূর্ণ অন্য যেকোন কিছু যা
তাদের গর্ব তুলে ধরে এবং সেটার ব্যাপারে জানতে চান
  • সম্ভব হলে, প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দেখার অনুমতি চেয়ে নিন যাতে সবাইকে আর সবকিছুকে আপনি দেখে
নিতে পারেন। ঘুরে দেখার সময়েই হয়ত আপনার সামনে কোন সুযোগ এসে ধরা দেবে।
  • আপনার সম্ভাব্য ক্লায়েন্টকে আপনার অন্য ক্লায়েন্টের সাথে পরিচয় করিয়ে দিন যারা একই সেবা নিয়ে
কাজ করে থাকে। এতে বিশ্বাস অর্জন করা এবং ভ্যালু যোগ করা অনেকাংশে সহজ হয়ে যায়।



৬টি উপায়ে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ান
যদি কেউ আপনাকে বিশ্বাস না করে তাহলে ব্যবসায় আপনি উন্নতি করতে পারবেন না। অন্যের
কাছে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে এই লেখাটি পড়ুন।
আপনার কাস্টমার, বিনিয়োগকারী ও সহকর্মীদের সাথে যত দ্রুত আপনি নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে
পারবেন, তত দ্রুতই আপনি ব্যবসায় সাফল্য পাবেন। এখানে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে ৬টি উপায়
বাতলে দেওয়া হলঃ
১. নিজস্বতা বজায় রাখুন
রঙ মাখানো কর্পোরেট নাম বা জব টাইটেল দিয়ে কাস্টমারদের আকৃষ্ট করার দিন শেষ। প্রতিনিধি হিসেবে নয়
নিজের মত করে নিজেকে উপস্থাপন করলে কাস্টমাররা আপনাকে বেশি বিশ্বাস করবে। যখনই আপনি
আপনার নিজের থেকে বেশি কিছু করতে চাইবেন, তখনই আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হয়ত
আপনার ভেতর উদ্যম আছে কিন্তু আর কিছু নেই, তারপরও নিজের উদ্যমকেই নিজের মত করে প্রকাশ করুন।
২. আপনার পণ্য/সেবার ন্যায়সঙ্গত মূল্য জেনে নিন
যখন আপনার পণ্য/সেবার ন্যায়সঙ্গত মূল্য জানতে পারবেন তখন আপনার পণ্য/সেবার ভাল ও মন্দ দিক আপনি
নির্দ্বিধায় তুলে ধরতে পারবেন। তখন আপনি কাস্টমারদের অযৌক্তিক চাহিদার বিপরীতে আপনার কোম্পানির
পলিসি তাদের কাছে স্পষ্টভাবে তুলে ধরতে ও ব্যাখ্যা করতে পারবেন। আপনি কী দিতে পারবেন সে ব্যাপারে
কনফিডেন্ট হলে অন্যরা আপনাকে বিশ্বাস করবে।

৩. গবেষণা ও বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে পর্যালোচনা করুন
যেকোন আলাপে যদি আপনি সঠিক তথ্য দিতে পারেন তাহলে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হবে। কোম্পানির ব্যাপারে
জানা, ইন্ডাস্ট্রিতে এর ভূমিকা কী, কোন কোন কাস্টমার এর আওতাভুক্ত, কাস্টমারের কোম্পানিতে কে কে কাজ
করে – এসব জেনে নিন। একজন স্মার্ট সিইও কিন্তু সবজান্তা হয় না, তাই যত বেশি জানবেন তত ভাল কারণ
তখন পুরনো সমস্যায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে তা সমাধান করতে পারবেন।
৪. ভালভাবে শুনুন, ভাবুন ও সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন
যারা বিশ্বাসযোগ্য তাদেরকে বারবার সবকিছু প্রমাণ করতে হয় না। যখন কোন কাস্টমার কথা বলে, তখন
মন দিয়ে শুনুন, কাস্টমার কী বলল তা নিয়ে চিন্তা করুন এবং তারপর আপনার মন্তব্য দিন বা দরকার হলে
অন্য কোন প্রশ্ন করুন বা কোন অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।
৫. সেলসের ভাষায় কথা বলবেন না
যখনি আপনি সেলসম্যানদের মত কথা বলতে শুরু করবেন, তখনই কাস্টমাররা বিরক্ত হয়ে আপনাকে এড়িয়ে
যাবে। যখন আপনি কাস্টমারদের সাথে কথা বলবেন, তখন সেলসের ভাষা পরিহার করুন (যেমন মানি ব্যাক গ্যারান্টি,
সর্বোচ্চ সেবা, সর্বোচ্চ মান) এবং এর পরিবর্তে কাস্টমারকে বলুন কীভাবে আপনার পণ্য/সেবা তার উপকারে
আসবে।
৬. হিরো না হয়ে অনুঘটক হোন
সিনেমায় দিন শেষে হিরো এসে সবাইকে বাঁচায়। কিন্তু বাস্তবের হিরোরা এতটা ভাগ্যবান নয়। হিরোর মত
কাজ করে এখানে হিরো হওয়া যায় না বরং সমস্যাকে খন্ডন করে এর সমাধানের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি
করে নিতে হয়। আপনার যেসব কাস্টমারদের অনেক চাহিদা থাকে, তাদের চাহিদাগুলো কোনটি বেশি জরুরি
সেটি জেনে নিয়ে সেভাবে কাজ করলে কাস্টমারের চোখে আপনি হিরো হয়ে উঠবেন এবং সেই সাথে বিশ্বাসের
ক্ষেত্রও তৈরি করে নিতে পারবেন।

বিক্রয় প্রচারণায় আশানুরূপ ফল না পাওয়ার ৬টি কারণ
কেন একধরণের প্রচারণায় বিক্রি বাড়ে, আর অন্য গুলোতে নয়? প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই দেখা যায় বিক্রেতা কিছু
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে যান। এরকম কিছু সাধারণ ভুল আর সেগুলো থেকে বাঁচার উপায় নিম্নে বলা হল।
১। ক্রেতার চাহিদা না জানা
আজকের দিনে ক্রেতারা চান আপনি যেন আগে থেকেই কিছু বিষয় জেনে রাখেন, যেমন –
  • তাদের পরিচয়।
  • তারা কার জন্য কাজ করেন।
  • কাদের সাথে কাজ করেন।
  • তাদের প্রতিষ্ঠানের কাজ কি?
  • তাদের ক্রেতা কারা?
  • আপনাকে তাদের কেন প্রয়োজন?
যেই তথ্যগুলো আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে জানতে পারেন, সেগুলো ক্রেতাকে প্রশ্ন করার
মানে দাঁড়ায়, হয় আপনি বোকা নয়ত আপনি তাদের পাত্তা দিচ্ছেন না। তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে
কেন কিনবে?

২। সুযোগের সদ্ব্যবহার না করা
বেশি বিক্রির সুযোগ দেখে আনন্দে আটখানা হওয়া স্বাভাবিক। বেশি লাভের চিন্তা আপনার মাথায় ঢুকলে,
লাভ করার আগেই আপনি খুশি হয়ে যাবেন। যে কারণে সুযোগের সত্যতা যাচাই করার মত প্রশ্ন আপনার
মাথায় আসবে না। তবুও, যে কাজের কোন অস্তিত্ব নেই তার পেছনে ঘণ্টার পর ঘন্টা সময় ব্যয় করার
মত খারাপ আর কিছু হতে পারে না। ক্রেতাকে প্রথম দশ মিনিটের মধ্যে প্রশ্ন করে যাচাই করে নিন,  তার
কাছে আপনার প্রস্তাবের মূল্য কি এবং তার কাছে আসলেই পর্যাপ্ত টাকা আছে কিনা।
৩। প্রতিযোগীতার প্রতি উদাসীনতা
ব্যবসায় সবসময় এই ভয় থাকে যে, আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী হয় আপনার সম্পর্কে ভেতরে ভেতরে খোঁজ নিচ্ছে
অথবা হঠাৎ আপনার ক্রেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাবে। হঠাৎ এইরকম বিপদে পড়ার হাত থেকে একভাবেই
বাঁচা সম্ভব, যদি আপনি আপনার ব্যবসায়ীক প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে ভালো খোঁজ খবর রাখেন। শুধু তার অফার
জানলেই হবে না। তার সাথে নিজের পণ্য আর সেবার তুলনা করুন, হিসাব করুন আপনার অবস্থান কোথায়।
আপনার ক্রেতার সাথে কে কথা বলছে, তার চেয়ে বড় কথা, কার (কোন মানুষের) সাথে কথা বলছে সব
আপনাকে জানতে হবে।
৪। আর্থিক সুবিধাগুলো ঠিকমত বোঝাতে না পারা
আপনার পণ্য বা সেবা ক্রয় করলে কি সুবিধা আর না করলে কি অসুবিধা হবে তা যদি আপনি ক্রেতা কে
বোঝাতে না পারেন, তবে প্রয়োজন থাকলেও কেউ আপনার কাছ থেকে কিছু কিনবে না। প্রথমে ক্রেতাকে
ব্যাখ্যা করুন কিভাবে আপনার সেবা বা পণ্য তাদের আর্থিক ভিত্তি কে মজবুত করবে, মুনাফা বাড়াবে,
বিক্রি বাড়াবে। এরপর আপনার আর বাজারের অন্য বিক্রেতাদের মধ্যের পার্থক্য সূক্ষ্মভাবে ব্যাখ্যা করুন।
সঠিকভাবে ও সুচারুরূপে ব্যাখ্যা করুন, দশজনের মধ্যে নয়জন ক্রেতাই বলবেনঃ “কবে থেকে দিতে পারবেন?”
৫। সাহায্য করার ব্যাপারে উদাসীনতা
ক্রেতা সবকিছুর আগে চায়, আপনি মন থেকে তাদের ব্যাপারে চিন্তা করুন। যদি বিক্রি করতে না পারেন তারপরও
ক্রেতার প্রতি আগ্রহ দেখান। ক্রেতা দ্রুত বুঝতে পারেন, যদি আপনি তার চেয়ে, বিক্রির প্রতি বেশি আগ্রহী
হন এবং সাথে সাথে আপনার কাছ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবেন। জোর করে কখনও কিছু বিক্রি করতে পারবেন
বলে মনে হয় না, এবং আজকাল কারো সাথে জোর করলে আপনাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে
দেবে। কিছু বিক্রি করতে চাইলে আপনাকে উৎসাহী হতে হবে। ক্রেতাকে খুশি করার জন্য যা দরকার তাই
করার ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে। এমনকি যদি ক্রেতার প্রয়োজন আপনি মেটাতে নাও পারেন।
৬। ক্রয় পদ্ধতি না জানা
প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের ক্রয়সংক্রান্ত আলাদা নীতিমালা আর সময় থাকে। যদি সফল প্রচারণা চালাতে চান,
তবে এই ব্যাপারে খোঁজ রাখুন, নয়ত পরে ধাক্কা খাবেন। দেখবেন কেউ চুক্তি করবে না, বা কোন অর্ডার দেবে
না। ক্রেতার সাথে আলোচনা করার প্রথম দিকে, তারা কিভাবে আপনার পণ্য কিনবেন সেটা জেনে নিন।
ছোট করে লিখে রাখুন ক্রয় প্রক্রিয়া এবং কোন ঝামেলা হলে কি করবেন, কার সাথে কথা বলবেন।