Tuesday, August 7, 2018

বিক্রয় প্রচারণায় আশানুরূপ ফল না পাওয়ার ৬টি কারণ

কেন একধরণের প্রচারণায় বিক্রি বাড়ে, আর অন্য গুলোতে নয়? প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই দেখা যায় বিক্রেতা কিছু
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে যান। এরকম কিছু সাধারণ ভুল আর সেগুলো থেকে বাঁচার উপায় নিম্নে বলা হল।
১। ক্রেতার চাহিদা না জানা
আজকের দিনে ক্রেতারা চান আপনি যেন আগে থেকেই কিছু বিষয় জেনে রাখেন, যেমন –
  • তাদের পরিচয়।
  • তারা কার জন্য কাজ করেন।
  • কাদের সাথে কাজ করেন।
  • তাদের প্রতিষ্ঠানের কাজ কি?
  • তাদের ক্রেতা কারা?
  • আপনাকে তাদের কেন প্রয়োজন?
যেই তথ্যগুলো আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে জানতে পারেন, সেগুলো ক্রেতাকে প্রশ্ন করার
মানে দাঁড়ায়, হয় আপনি বোকা নয়ত আপনি তাদের পাত্তা দিচ্ছেন না। তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে
কেন কিনবে?

২। সুযোগের সদ্ব্যবহার না করা
বেশি বিক্রির সুযোগ দেখে আনন্দে আটখানা হওয়া স্বাভাবিক। বেশি লাভের চিন্তা আপনার মাথায় ঢুকলে,
লাভ করার আগেই আপনি খুশি হয়ে যাবেন। যে কারণে সুযোগের সত্যতা যাচাই করার মত প্রশ্ন আপনার
মাথায় আসবে না। তবুও, যে কাজের কোন অস্তিত্ব নেই তার পেছনে ঘণ্টার পর ঘন্টা সময় ব্যয় করার
মত খারাপ আর কিছু হতে পারে না। ক্রেতাকে প্রথম দশ মিনিটের মধ্যে প্রশ্ন করে যাচাই করে নিন,  তার
কাছে আপনার প্রস্তাবের মূল্য কি এবং তার কাছে আসলেই পর্যাপ্ত টাকা আছে কিনা।
৩। প্রতিযোগীতার প্রতি উদাসীনতা
ব্যবসায় সবসময় এই ভয় থাকে যে, আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী হয় আপনার সম্পর্কে ভেতরে ভেতরে খোঁজ নিচ্ছে
অথবা হঠাৎ আপনার ক্রেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাবে। হঠাৎ এইরকম বিপদে পড়ার হাত থেকে একভাবেই
বাঁচা সম্ভব, যদি আপনি আপনার ব্যবসায়ীক প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে ভালো খোঁজ খবর রাখেন। শুধু তার অফার
জানলেই হবে না। তার সাথে নিজের পণ্য আর সেবার তুলনা করুন, হিসাব করুন আপনার অবস্থান কোথায়।
আপনার ক্রেতার সাথে কে কথা বলছে, তার চেয়ে বড় কথা, কার (কোন মানুষের) সাথে কথা বলছে সব
আপনাকে জানতে হবে।
৪। আর্থিক সুবিধাগুলো ঠিকমত বোঝাতে না পারা
আপনার পণ্য বা সেবা ক্রয় করলে কি সুবিধা আর না করলে কি অসুবিধা হবে তা যদি আপনি ক্রেতা কে
বোঝাতে না পারেন, তবে প্রয়োজন থাকলেও কেউ আপনার কাছ থেকে কিছু কিনবে না। প্রথমে ক্রেতাকে
ব্যাখ্যা করুন কিভাবে আপনার সেবা বা পণ্য তাদের আর্থিক ভিত্তি কে মজবুত করবে, মুনাফা বাড়াবে,
বিক্রি বাড়াবে। এরপর আপনার আর বাজারের অন্য বিক্রেতাদের মধ্যের পার্থক্য সূক্ষ্মভাবে ব্যাখ্যা করুন।
সঠিকভাবে ও সুচারুরূপে ব্যাখ্যা করুন, দশজনের মধ্যে নয়জন ক্রেতাই বলবেনঃ “কবে থেকে দিতে পারবেন?”
৫। সাহায্য করার ব্যাপারে উদাসীনতা
ক্রেতা সবকিছুর আগে চায়, আপনি মন থেকে তাদের ব্যাপারে চিন্তা করুন। যদি বিক্রি করতে না পারেন তারপরও
ক্রেতার প্রতি আগ্রহ দেখান। ক্রেতা দ্রুত বুঝতে পারেন, যদি আপনি তার চেয়ে, বিক্রির প্রতি বেশি আগ্রহী
হন এবং সাথে সাথে আপনার কাছ থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবেন। জোর করে কখনও কিছু বিক্রি করতে পারবেন
বলে মনে হয় না, এবং আজকাল কারো সাথে জোর করলে আপনাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে
দেবে। কিছু বিক্রি করতে চাইলে আপনাকে উৎসাহী হতে হবে। ক্রেতাকে খুশি করার জন্য যা দরকার তাই
করার ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে। এমনকি যদি ক্রেতার প্রয়োজন আপনি মেটাতে নাও পারেন।
৬। ক্রয় পদ্ধতি না জানা
প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের ক্রয়সংক্রান্ত আলাদা নীতিমালা আর সময় থাকে। যদি সফল প্রচারণা চালাতে চান,
তবে এই ব্যাপারে খোঁজ রাখুন, নয়ত পরে ধাক্কা খাবেন। দেখবেন কেউ চুক্তি করবে না, বা কোন অর্ডার দেবে
না। ক্রেতার সাথে আলোচনা করার প্রথম দিকে, তারা কিভাবে আপনার পণ্য কিনবেন সেটা জেনে নিন।
ছোট করে লিখে রাখুন ক্রয় প্রক্রিয়া এবং কোন ঝামেলা হলে কি করবেন, কার সাথে কথা বলবেন।

Previous Post
Next Post

post written by:

0 comments:

আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ